fbpx
+8801717030687 [email protected]

যে কোন প্রোগ্রামার প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য এই ধাপ বা স্টেপগুলো ফলো করা বাঞ্চনীয়, যথা:-

  1. সমস্যা নির্ধারণ :প্রোগ্রাম রচনাকারীকে প্রথমে ভাবতে হয় কি প্রয়োজনে অর্থাৎ কোন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি করতে হবে। এ ধাপে সমস্যার একটি সুস্পষ্ট বিবরণ তৈরি করতে হয়।
  2. সমস্যা বিশ্লেষণ :
    সমস্যা নির্দিষ্ট করার পর সেই সমস্যা সম্বন্ধে বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়। বড় সমস্যাকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করা হয়, যাতে প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে সহজে সমস্যার সমাধান করা যায়। সমস্যা বিশ্লেষণ অংশে যে সকল কাজ করা হয় তা হলোÑ
    ক. ইনপুট সনাক্তকরণ
    খ. গাণিতিক সূত্র নির্ধারণ
    গ. আউটপুট সনাক্তকরণ
  3. প্রোগ্রাম ডিজাইন:
    প্রোগ্রাম ডিজাইন বলতে প্রোগ্রামের মূল রূপরেখা নিরূপণ করাকে বুঝায়। সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত সুবিধাজনক এ্যালগরিদম তৈরি করা ও ফ্লোচার্ট অংকন করা এ ধাপের কাজ। ক্ষেত্র বিশেষে সূডোকোডও লিখতে হয়। এ্যালগরিদম হলো কোন সমস্যা সমাধানের যৌক্তিক ধারাবাহিক বিবরণ। আর ফ্লোচার্ট হলো এ্যালগরিদমের চিত্ররূপ।
  4. প্রোগ্রাম কোডিং:
    অ্যালগরিদম , ফ্লোচার্ট বা সূডোকোড থেকে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ অনুসারে প্রোগ্রাম রচনা করাকে প্রোগ্রাম কোডিং বলা হয়। প্রোগ্রাম কোডিংয়ের জন্য এ্যালগরিদম, ফ্লোচার্ট বা সূডোকোডের ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে কীবোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করে প্রোগ্রাম রচনা করা হয়।
  5. প্রোগ্রাম ডিবাগিং ও টেস্টিং:প্রোগ্রাম কোডিং শেষে প্রোগ্রামে ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হয়। প্রোগ্রামের ভুল সংশোধন করাকে বলা হয় ডিবাগিং। প্রোগ্রামে সাধারণত তিন ধরনের ভুল থাকে। যেমন;
    ক. চিহ্নের ভুল বা সিনট্যাক্স এরর
    খ. যৌক্তিক ভুল বা লজিক্যাল এরর
    গ. নির্বাহজনিত ভুল বা এক্সিকিউশন এরর
    ভুল সংশোধনে পর প্রোগ্রামে কিছু জানা ডেটার মান বসিয়ে ফলাফল পরীক্ষা করা হয়। যদি জানা ডেটার মানের ফলাফল আর প্রোগ্রামের প্রদত্ত ফলাফল একই হয় তাহলে প্রোগ্রামের ফলাফলের শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই প্রক্রিয়াকে প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায় ড্রাই রান বলা হয় এবং ডেটার বিশেষ মানকে বলা হয় টেস্ট ডেটা।
  6. প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশন:
    প্রোগ্রামের ভুল সংশোধন করার পর একে চালু/রানিং প্রোগ্রাম বলা হয়। রানিং প্রোগ্রাম ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয় এবং সম্পূর্ণ প্রোগ্রামকে লিপিবদ্ধ/ফাইল করা হয়। এই লিপিকে বলা হয় প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশন। প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশনে সমস্যার বর্ণনা হতে ফলাফল পর্যন্ত সকল ধাপের কার্যাবলি লিপিবদ্ধ করা হয়। ভবিষ্যতে প্রোগ্রামের পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের জন্য ডকুমেন্টেশন আবশ্যক।
  7. প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ:
    ব্যবহারের প্রয়োজনে প্রোগ্রামের উন্নতিকল্পে কিংবা উন্নত হার্ডওয়্যারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার জন্য মাঝে মাঝে প্রোগ্রামের পরিবর্তন, সংশোধন বা আধুনিকায়ন করা হয়। এ সব কাজকে প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ বলা হয়।